২১ শে আগষ্ট থেকে মানকর স্টেশনে থামবে না অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস : ক্ষোভ যাত্রীমহলে

15th August 2021 2:30 pm বর্ধমান
২১ শে আগষ্ট থেকে মানকর স্টেশনে থামবে না অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস : ক্ষোভ যাত্রীমহলে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) :  ২১ আগস্ট থেকে মানকর স্টেশনে আর থামবে না অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস । এমনটাই ফতোয়া দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেলদপ্তর থেকে  । রেল সুত্রে জানা গিয়েছে পর্যাপ্ত টিকিট বিক্রি না হওয়ার জেরেই অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস আর মানকর রেল ষ্টেশনে দাঁড়াবে না । রেলযাত্রীদের  কথায় করোনার দুবছরে যাত্রী  কোথা থেকে মিলবে ? আসলে বাংলায় ক্ষমতায় না আসার জেরেই এমন টাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে , এটা রাজনৈতিক বদলা।  মানকর স্টেশনে এর আগে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস দাঁড়াতো না । লোকসভা  নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী আলুওয়ালিয়া জয় পান । তিনি  হন সাংসদ । সাংসদ আলুওয়ালিয়া ভোটের আগে রেলকে দিয়ে মানকর স্টেশনে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসকে থামানোর ব্যবস্থা করেন । বহুদিনের দাবীপূরণ হওয়ার ফলে সেদিন খুশী হয়েছিলেন রেলযাত্রীরা । রেলযাত্রীদের এর আগে পানাগড় স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে হতো । করোনাকালে বন্ধ ছিল ধানবাদ – হাওড়া যাতায়াতের এক্সপ্রেস ট্রেন , সদ্য কিছু চালু হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস । 
রেলের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তে মানকরবাসী ক্ষুব্ধ । স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ও মানকরের বাসিন্দা জয়গোপাল দে বলেন “ রেলের এই সিদ্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই । আমরা জানতাম সাংসদ ভোটের জন্য লোভ  দেখিয়েছিলেন ,।  হেরে যাওয়ার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হল । এটা রাজনৈতিক বদলা ও চক্রান্ত”। 
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় প্লাটফর্মে টিকিট কাটার ব্যবস্থা নেই , অনলাইনে টিকিট কাটার বিষয়ে সবাই অভ্যস্থ নয় ,  এছারাও আত্মশাসনকাল চলছে তাই যাত্রীও কম । কিন্তু স্টপেজ বন্ধ করার কোন যুক্তি নেই । রেলের এই সিদ্ধান্ত গ্রামীণ রেলযাত্রীদের উপরে বিরাট আঘাত । তৃণমুল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “ রেলের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই , বাংলাকে বঞ্চিত করছে রেল এবং কেন্দ্র সরকার এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ”।  পুর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমুল সহ সভাপতি জাকির হোসেন বলেন “ তারা আন্দোলনে নামবেন”।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।